নরসিংদী শহরে থ্রি হুইলার, পাসপোর্ট ও সাবরেজিস্টার অফিস থেকে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন সর্বস্তরের জনগন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন সরকার, এস এম কাইয়ুম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল আহমেদ শাওন, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, শহর যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নয়নের সরকার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত লাভ করেছেন। বর্তমান সরকার গরীব দুঃখি মানুষের সরকার। জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো অন্যায় করলে তা তিনি প্রশ্রয় দেন না। কিন্তু নরসিংদীতে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অটোরিকশা, ট্রলি, ভ্যান সিএনজি, পাসপোর্ট ও সাবরেজিস্টার অফিস থেকে প্রতিদিন তোলা হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা। যা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ চাঁদা কোথায় যাচ্ছে? এ চাঁদা যাচ্ছে দুইজন ব্যক্তির কাছে। একজন নরসিংদী পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু আর অপরজন সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুলের পকেটে। তারা গুটিকয়েক সন্ত্রাসী দিয়ে অটোচালক ও বিভিন্ন অফিসে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসব চাঁদা কালেকশন করেন। পরে ওইসব চাঁদার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেন। এসব অন্যায়, জুলুম ও অবৈধ চাঁদা বন্ধের দাবিতে আমরা আজ সর্বস্তরের জনগনের সাথে একমত পোষণ করে ঐক্য গড়ে তুলেছি। আজকের পর থেকে কোন অটোরিকশা, ট্রলি, ভ্যান, পাসপোর্ট ও সাবরেজিস্টার অফিসে চাঁদা দিবেন না। যেখানেই চাঁদা সেখানেই প্রতিরোধ। নরসিংদী সদর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো (বীর প্রতীক) এমপি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত নরসিংদী গড়তে চান। তার এই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়ন করতে আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে শামিল হয়েছি। আরও বলেন, এখানে বিভিন্ন সেক্টরের গোয়েন্দারা উপস্থিত আছেন। তাদের কাছে আহ্বান সর্বস্তরের জনগনের দাবি পূরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। পরে মঞ্চ থেকে নেতারা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে অবৈধ চাঁদা তোলা বন্ধের দায়িত্ব দেন।
এসময় ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, পরিবহন শ্রমিক লীগ, মটর চালক লীগ, অটোরিকশা-ভ্যান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।