গত ২৬ জানুয়ারী রাতে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার যোশরের দেবালেরটেক গ্রামে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়ের অপরাধে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২৬ জানুয়ারী রাতে শিবপুর উপজেলার যশোরের দেবালেরটেক গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বাড়ীতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১৯ লক্ষ টাকা ও ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যান। পরে বাড়ীর মালিক মেজবাহ উদ্দিন মেজু শিবপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজুর পর পুলিশ সুপারের সার্বিক নির্দেশনায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাদেকুর রহমান জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে, ডাকাত দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করেন। এবং নগদ পাঁচ লক্ষ তেইশ হাজার পাঁচশত টাকা, সাড়ে সতেরো গ্রাম গলিত স্বর্ণসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পাইপগান, ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করেন। এসময় লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়ের অপরাধে শিপন চন্দ্র সূত্রধর নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন,নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বটতলী খামারপাড়ার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শেখ ফরিদ,দড়িবালুয়াকান্দির চান মিয়ার ছেলে মোক্তার হোসেন,চড় আড়ালিয়ার মৃত রাজা মিয়ার ছেলে আল আমিন, শিবপুর উপজেলার নৌকাঘাটার মৃত রাজু মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম, সদর উপজেলার চম্পক নগরের আ: রহিমের ছেলে নুরুল ইসলাম, বকশালীপুরের মৃত আয়নাল মিয়ার ছেলে রাজীব।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় পূর্বেও একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) অনির্বাণ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) ফজল ই খুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) শামসুল আরেফিন, সহকারী পুলিশ সুপার ( শিবপুর সার্কেল) মেজবাহ উদ্দিন,
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার।