মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মোঃ সুমন মিয়া(৪০) নামে এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা। মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে আহতের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি কান্নাকাটি।
জানা গেছে, প্রবাসী মো সুমন মিয়া নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহত মো সুমন মিয়া পাসপোর্ট নং-BQ 0937453। তিনি পরিবার ও নিজের ভাগ্য বদলাতে মালয়েশিয়ায় যান। গত জানুয়ারির ১লা তারিখে মালয়েশিয়ার মটরসাইকেলে চড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্নকভাবে আহত হন। আহত অবস্থায় স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালের বেডে প্রহর গুনছেন। হাসপাতালের বকেয়া এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থ। রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কারণে আজ বাংলাদেশ স্বাবলম্বী। আর তারাইকিনা বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে বিদেশে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষ থেকে এই বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। অসুস্থ প্রবাসী মোঃ সুমন মিয়া ২০১৫ সালে কলিং ভিসায় কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসে। তার স্ত্রী ও ছেলে মাদরাসা পড়ুয়া পরিক্ষার্থী। তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা বাবদ মোটা অংকের টাকা খরচ হয়েছে। মালয়েশিয়ায় তার কোন নিকট আত্মীয় না থাকার কারনে সেবা শুশ্রূষা করে তার চিকিৎসা বা খরচ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সুমন মিয়া এর কিছু হলে তার পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে।
আহতের স্ত্রী আশামনি বলেন, ‘আমার স্বামী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন। দেখার সৌভাগ্য কি হবে না? সে কি দেশে আসতে পারবে না? প্রবাসী মো সুমন মিয়া গত ১লা জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় কাজে যাওয়ার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে ওইখানকার পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালের আইসিইউ তে ভর্তি করান। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ছেন। তিনি অবৈধ ভাবে কাজ করতেন। পরিচিত জনদের মাধ্যমে খুঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। গরীব আসহায় পরিবারটি স্বজনদের কাছ থেকে দার করজ করে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছি। ওইখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা ব্যাতিত চিকিৎসা কার্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ সম্ভব হবে না। স্বামীকে বাঁচাতে দেশ ও বিদেশের বিত্তবান দানশীল মানুষের আর্থিক সহায়তা কামনা করছি। মূমুর্ষ অসহায় সুমন মিয়াকে দেশে ফেরত পাঠাতে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সহ আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। যারা সাহায্য পাঠাতে চান এই নাম্বারে ০১৭৬৮৯৬০৮৫৩ আহতের স্ত্রী মো আশামনি যোগাযোগ/বিকাশ।’
আহতের ছেলে মো সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা মারা গেলে এতিম হয়ে যাবো। আর বাবা ডাকতে পারবো না। বাবাকে বাঁচাতে একটু সহযোগিতা করেন।’
আহতের শশুর কবি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মেয়ের জামাই অসুস্থতার খবর পেয়ে পরিবারের নাওয়া খাওয়া বন্ধ। সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ছেন। তিনি অবৈধ ভাবে কাজ করতেন। পরিচিত জনদের মাধ্যমে খুঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। গরীব আসহায় পরিবারটি স্বজনদের কাছ থেকে দার করজ করে বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছি। ওইখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা ব্যাতিত চিকিৎসা কার্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় তার অসহায় পরিবার সকল হৃদয়বান প্রবাসীদের কাছে তার জীবন বাচাঁতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি।’