শিরোনাম :
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নরসিংদীতে বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকার বহিষ্কার দল থেকে বহিস্কার হলেন যুবদল নেতা মনির নরসিংদীতে ইসকন সদস্যের হাতে কালো ওয়াকি-টকি, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি, নাকি ক্ষমতার জানান? জেলাজুড়ে তোলপাড়। চেতনা টিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা মনির গ্রেফতার। পলাশে যুবদল নেতার মদদে সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে হামলা নরসিংদীতে সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতির কমিটি ঘোষণা জাকির হোসেন ভুঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ।। বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বারের সদস্য হলেন এবিএম আজরাফ টিপু দুদকের জালে তারেক রিকাবদার ঈদুল আজহা উপলক্ষে নরসিংদীর বালুসাইর শাহী ঈদগাহ মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

নরসিংদীতে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার / ৬০৮ বার
আপডেট : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

নরসিংদীর পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে চান্দু আলামীন ওরফে হাতকাটা আলামীনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত পৌঁনে ১২ টায় শহরের বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, চান্দু আলামীনের সাথে একই এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে কাউছারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। কাউছারের ভয়ে বেশ কয়েক দিন বাড়ি ছাড়া ছিলো সে। গত ৪ দিন আগে আলামীন বাড়ি ফিরে আসে। সে খবর শুনে কাউছার ও তার সহযোগীরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আলামীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, আলামীন ও কাউছার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এর আগে র‍্যাবের বন্দুক যুদ্ধে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিকের সাথে মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে, তার নির্দেশে কসাই বাবু নামে এক সন্ত্রাসী আলামীনকে ডেকে নিয়ে দু’হাতের কব্জি কেটে ফেলেন। শফিক নিহত হলে আলামীনের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। এলাকায় গড়ে তুলেন মাদকের শক্ত অবস্থান। এতে করে কাউছারের সাথে শুরু হয় প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের বেশ কয়েকবার মারামারিও হয়। পরে আলামীন এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে চলে যায়। আবার সে এলাকায় ফিরে এলে এ ঘটনা ঘটে।
আলামীন ও কাউছারের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, ছিনতাই সহ নরসিংদী মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। কখনও পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ