শিরোনাম :
জার্মান চ্যান্সেলরকে ডঃ ইউনুসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানালেন, মোশাররফ হোসেন ভূইয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেয়া হবে – ড. আব্দুল মঈন খান আমলনামা -১ কে এই সিআইপি নিজামুদ্দিন লিটন? লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম,দিশেহারা মধ্যবিত্ত দূর্নীতি ঢাকতে ভারতে পালাতে চান সাবেক মহিলা এমপি মাসুদা সিদ্দিক রোজী নরসিংদীতে নবাগত জেলা প্রশাসক রাশেদ হোসেন চৌধুরীর যোগদান নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর প্রতিবাদ দিল্লিতে হাসিনা গৃহবন্দী? নরসিংদীর নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী নরসিংদীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন

পলাশে জোরপূর্বক পুকুর দখলের অভিযোগ

আশিকুর রহমান / ২৮১ বার
আপডেট : বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামে এক ভুক্তভোগীর পুকুর দখলের চেষ্টা করেছেন স্হানীয় প্রভাবশালী ফারুক কাজী গংরা। এমন অভিযোগ করেছেন ছালেহা বেগম নামে এক ভুক্তভোগী মহিলা।
পুকুরে মাছ চাষ বন্ধ করে সেখানে মাটি ভরাট করে পুকুরটি দখলের চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন পুকুরের মালিক মাছ চাষী ছালেহা বেগম ও হাসমত উল্লাহ।
সোমবার (৯ অক্টোবর) পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর তিনি ৭ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা ১৯৯৫ সনে ইছাখালী মৌজায় সি.এস-৭৩, এস.এ-৮১ ও আর.এস-৮৫৩ খতিয়ানে সাবেক-১৮০৮ দাগে আর.এস-৬৩৭৮ দাগে ১৯ শতাংশ নাল জায়গা আম্বিয়া খাতুন এবং তার ২ মেয়ে খোদেজা ও সারবান বেগম এওয়াজ বদল করেন। যাহার দলিল নং-৯৫. তারিখ- ০৩/০১/১৯৯৫। ভুক্তভোগীরা ওই সম্পত্তিতে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দাওয়াতি মৎস্য খামার নামে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত শুক্রবার প্রতিবেশী মৃত কাশেম কাজীর ছেলে ফারুক কাজী ও তার ভাই রবিউল্লাহ কাজী, আঃ রহমানের ছেলে রহমত আলী, ছমর উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন, ওহাব গাজীর ছেলে বাদল গাজী, হাসিম মিয়ার ছেলে কাউসার, জয়নাল আবেদিনের ছেলে কাজল মিয়া সহ আরও ১০/১২ জন লোক দা, লাঠি, কুড়াল ও চাপাতি সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক পুকুরে ডুকে পুকুরের পাশে লাগানো ফলজ ও বনজ গাছগুলো কেঁটে এবং পুকুরে মাটি ভরাট করার চেষ্টা করে। পরে ভুক্তভোগী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ছালেহা ও হাসমত উল্লাহ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা ১৯৯৪ সালে জমিটি ক্রয় করে ১৯৯৫ সালে ফারুক কাজী ও রবিউল্লাহ কাজীর মা আম্বিয়া খাতুন ও তার দুই মেয়ে খোদেজা ও সারবান বেগমের সাথে পলাশ সাব-রেজিস্টার কর্মকতার সামনে এওয়াজ বদল করি। ২৫ বছর ধরে এ জমিতে মাছ চাষ করে আসছি। বর্তমানে পুকুরটিতে বিভিন্ন প্রকার কয়েক লক্ষ টাকার মাছ আছে। হঠাৎ করে তারা দেশী অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে আমাদের পুকুরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে গাছ কাটতে শুরু করে এবং পুকুরে মাটি ভরাট করতে থাকে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদেরকে মারধর করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে গেলে তারা আমাদেরকে কোনো সহযোগিতা করেনি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করে অভিযোগ করি। তিনি আরও জানান, অভিযোগ করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে উপজেলা কর্মকর্তা জানান।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ