নরসিংদী জেলা মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারি পরিচালক দিপ্তী দাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকরা। সহকারি পরিচালক দিপ্তী দাসের বিরুদ্ধে গত ৫ জুলাই জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও ৯ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার শিক্ষকরা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের জেলা সহকারী প্রকল্প পরিচালক দিপ্তী দাস ও ফিল্ড সুপারভাইজার দেওয়ান মনিরুল ইসলাম নরসিংদী পৌর শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শিক্ষিকা যমুনা চক্রবর্তী, সদর উপজেলার বালাপুরের মদন মোহন বিগ্রহ মন্দিরের শিক্ষিকা কনিকা সাহা এবং মাধবদীর আনন্দী এলাকার মনসা মায়ের মন্দিরের শিক্ষিকা প্রতিমা দেবনাথের সরকারি বেতনের টাকা ভয়ভীতি ও কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী যমুনা চক্রবর্তী বলেন, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে আমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছি। প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক দিপ্তী দাস ও ফিল্ড সুপারভাইজার দেওয়ান মনিরুল আমাকে চাকরির ভয়-ভীতি দেখিয়ে এবং বিভিন্ন সময়ে কৌশলে আমার কাছ থেকে দুই দফা প্রায় ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। আমি বিধবা মহিলা। আমার ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে আমি আর্থিক সংকটের কারণে মানবতার জীবন যাবপ করছি। তিনি আরও বলেন, শুধু আমি না আমার মতো আরও অনেক শিক্ষকদের বেতনের টাকা তার আত্মসাৎ করেছেন। নিরুপায় হয়ে তাদের বিরুদ্ধে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। এবিষয়ে জানতে সরজমিনে গেলে, দীপ্তি দাস ও দেওয়ান মনিরুল ইসলামকে দীর্ঘ ৪ দিনও খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি। পরে অফিস পিয়ন কবিন রায় বলেন, আমি ছোট পদে চাকরি করি। স্যারের কখন আসে যায় বা অফিসে আসবে কি-না তা আমি কিভাবে বলবো।