মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এ ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এর সভাপতিত্বে ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সদর-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতীক) এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার্স এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ। উক্ত ফুটবল ম্যাচে নরসিংদী পৌরসভা ও নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নামে দুইটি দল অংশ নেয়। নরসিংদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র জহির ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া উভয় দলের নেতৃত্ব দেন। পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ও উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় নরসিংদী পৌরসভা ২-০ গোলে নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদকে পরাজিত করেন। পরে প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দরা উপস্থিত থেকে উভয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অপরদিকে শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শেখ কামাল এর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে সৃত্মিচারণ, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক সাহার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সদর-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতীক) এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ। প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম হিরু সৃত্মিচারণ করতে গিয়ে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেষ্ঠ্য পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল আমার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমরা একসাথে ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে ছিলাম এবং একসাথে যুদ্ধ করেছিলাম। সে শুধু ভালো ক্রীড়া সংগঠকই ছিলেন ছিলেন ভালোমানের একজন সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তি ছিলেন। সে যুদ্ধ প্রশিক্ষণকালিন ক্যাম্পে ছড়া কবিতা লিখে এবং আবৃত্তি করে প্রশিক্ষণ নেওয়া সকলের মনোবল চাঙ্গা রাখতো। শেখ কামাল একাধারে যেমন দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক এবং ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তেমনি ছাত্র হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মনেপ্রাণে দেশীয় সংস্কৃতি লালন এবং চর্চা করতেন। খেলাধুলা, সংগীত, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। পরে শেখ কামাল এর আত্মার মাগফেরাত ও শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম। এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।