পাঁচদোনা মোড়ে রাসেল মাহমুদ গং কর্তৃক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জন সাধারনের চলাচলের প্রায় শতবছরের পুরোনো মুক্তিযোদ্ধা পল্লির রাস্তা বন্ধ করে দেয়া ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে মেহেরপাড়া ইউনিয়নবাসী। রোববার ২৫ জুন সকাল ১০ টায় নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড়ে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্বাপল্লীর মুক্তিযোদ্ধা, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃরৃন্দ ও সর্বস্তরের জন সাধারন অংশ গ্রহন করেন। ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম মেম্বারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,ইউপি সদস্য দানিসুর রহমান দানা, আতাউর রহমান, তাহের আলী, আহসান উল্লা, আ: মজিদ, সাবেক মেম্বার সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,বেলায়েত হোসেন,সাইদ হাসান কাজলসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
মানব বন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, গত ১ বছর পূর্বে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি পাঁচদোনা মোড়ে স্থানীয় কয়েক জন মালিকের নিকটথেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে আল্লাহর দান নামে একটি পাইকারী আড়ত নির্মান করেন। উক্ত আড়তের মধ্যে সরকারী প্রায় ৫৫ শতাংশ খাশ জমিও রয়েছে। আড়ত টি নির্মান করার সময় সরকারী অনুমতি না থাকা ও বিভিন্ন মালিকানা জটিলতায় মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হলে,নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থীতিতে ভোলডোজার দিয়ে আড়তের মেইন রাস্তা বন্ধ করে দেয়া । পরে উক্ত কামাল হোসেন তার ভাগিনা পরিচয়ে শেখেরচর বাসষ্টেন্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেলমাহমুদ(সাউথ আাফ্রিকা রাসেল) কে আল্লাহর দান পাইকারী আড়তটির পার্টনার হিসেবে পরিচালক বানায়। কিছুদিন পর আল্লাহর দান পাইকারী আড়তের দক্ষিন পাশে ইমর্পোট এক্সর্পোট নামে আরেকটি পাইকারী আড়ত অন্য মালিক নির্মান করে। এর থেকেই দুই মালিকের পূর্ব শত্রুতার জেরধরে রাসেল গংরা সস্ত্রাসী র্কাযক্রম শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহর দান পাইকারী আড়তটির চারধিক খোলা থাকলেও পেশী শক্তির বলে রাসেলগংরা প্রায় শতবছরের পুরোনো মুক্তিযোদ্ধা পল্লি ও হিন্দু অধ্যশিত এলাকার রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এতে তাৎক্ষনিক ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে মুক্তিযোদ্বা পল্লীর বসবাসরত লোকজন ও মসজিদে আগত মুসুল্লিসহ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত ছাত্রছাত্রীরা এবং হিন্দু অধ্যসিত এলাকার তিনটি গ্রামের জনসাধারন। বন্ধ করে দেয়া রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আজহার অমিত প্রান্তকে বিষয়টি অবহিত করে তার হস্থক্ষেপ কামনা করেন। চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ নিয়ে গত ১৯ জুন ঘটনাস্থলে এসে বন্ধ রাস্তাটি খুলে দেয়ার নির্দেশ দিলে বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত রাসেল মাহমুদের নির্দেশে তার ভাই হিমেল,পাভেল,নোভেল সহ তাদের সহযোগীরা চেয়ারম্যান ও তার লোক জনের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিরোধ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় উক্ত রাসেলের পিতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৯ জুন নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতকে আসল তথ্য গোপন করে ইউপি চেয়ারম্যান কে প্রধান আসামী করে আরো ১১ জনের বিরুদ্বে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও হয়রানী মূলক বলে মানব বন্ধনে অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অভিলম্বে শতবছরের পুরোনো মুক্তিযোদ্ধাপল্লির বন্ধ করে দেয়া রাস্তা সর্ম্পূন খুলে দেয়া এবং মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং তার লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাসেল গংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। নতুবা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা হবে বলে মানব বন্ধন থেকে জাননো হয়।