এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের নেয় নরসিংদীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩জুন) বিকেলে নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপত্বিতে জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সদর-১ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (হিরো) বীর প্রতীক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন ভূঁইয়া। প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এমপি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলো এই দল। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই রচিত হয়েছে পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে, টানা ৭৪ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রাম, সৃষ্টি, অর্জন ও উন্নয়নের ইতিহাস। এই দল প্রতিষ্ঠার সময় তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পান। প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা হিসেবে, শুরু থেকেই দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হন তিনি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র কাণ্ডারী হয়ে ওঠেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। আমৃত্যু দেশসেবার কাজে ব্রত ছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে যেমন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হাতে তৈরি, তেমনি আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের কারণেই আমরা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু যে দলের ভিত্তি দিয়েছেন, সেই দলকে এখনো বহন করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। একাধিকবার ঘাতকের বুলেট-বোমার সামনে নিজের জীবনকে বিপন্ন করতে হয়েছে, তবুও দলের রক্ষাকবচ হয়ে থেকেছেন তিনি। একারণেই বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আবেগের নাম। এই দলের সব সদস্য মিলে একটি পরিবার। এ পরিবারই বাংলাদেশের বৃহত্তর পরিবার। দলটির প্রতিষ্ঠাতা নেতা-কর্মীদের মধ্যে আজ অনেকেই জীবিত নেই। আজকের এদিনে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। ৫২ বছরের বাংলাদেশের সাড়ে ২৫ বছর দেশশাসন করার সুযোগ পেয়েছে দলটি। এই সাড়ে ২৫ বছরের মধ্যে ২২ বছরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তির হয়েছে। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ একের পর এক সফলতা অর্জন করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি অর্জন করায়, স্বাধীনতা বিরোধী শক্র বিএনপি-জামাত আবার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। তারা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড রোধ করতে। তাই আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তারা যেন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। স্বাধীনতা পক্ষের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আগামী সংসদ নির্বাচনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন ভূঁইয়া, শাখাওয়াত মোল্লা, এস এম কাইয়ূম, শহর আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, দীপক সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা জোবায়ের আহমেদ, মিয়া মোঃ মঞ্জুর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল আহম্মেদ শাওন, জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক কায়কোবাদ হোসেন কানু, সদস্য সচিব মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও শহর ছাত্রলীগ, সদর থানা ছাত্রলীগ, শহর যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।